সম্মেলনকে সামনে রেখে পার্টির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে একজন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেলে ৭ জন প্রার্থী জোরেশোরে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তবে নিয়ম অনুসারে ১২৭০ জন ভোটারের সমর্থন স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ব্যালট ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী এলবিজে ইউলিয়ামস প্যানেল ১২৭০ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন। একই কারণে স্বত্বন্ত্র প্রার্থী ক্যাথিব্যাথ ডেইভিসের প্রার্থিতা বাতিল হয়।
এদিকে ১৮০০ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মনোনয়নপত্র জমা দেন কার্টিস হার্টেল, পরশিয়া রবার্সন ও ড. হাসান প্যানেল। প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেল পর্যন্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে না পারায় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুসারে কন্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ডেইলিগেটরদের কন্ঠ ভোটে কার্টিস কার্টেল প্যানেল নির্বাচিত হন। এসময় এলবিজে ইউলিয়ামসহ তার প্যানেলের সবাই সমর্থন ও অভিনন্দন জানান বিজয়ী প্যানেলকে।

দলটির চেয়ার পদে স্টেট সিনেটর কার্টিস হার্টেল, মহিলা ভাইস চেয়ার পদে পরশিয়া রবার্টসন ও সেকেন্ড ভাইস চেয়ার পদে ড.শাহীন নাজমুল হাসান প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেন। সেকেন্ড ভাইস চেয়ার পদটি ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ তিনটি পদের মধ্যে একটি। মিশিগান নর্থভিল সিটির বাসিন্দা শাহীন হাসান পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। চাকরি করেন
জেনারেল মোটর কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার পদে।
শাহীন হাসান ১৯৯০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকা আসেন। আইওয়া মর্নিংসাইড ইউনিভার্সিটি থেকে আন্ডারগ্রেজুয়েশন করার পর নেব্রাস্কা লিংকন ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টাস ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন মিশিগান ওয়েইন স্টেট ইউনির্ভাসিটি থেকে। তিনি ২০০৫ সালে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতে জড়িয়ে পড়েন।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সন্তান ড.শাহীন হাসান। তার বাবা অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ইউনূস ছিলেন কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি। সেই সুবাদে ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন শাহীন হাসান।